বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড সামনে দাঁড়িয়ে দেখে বর্ষা, মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে বাসায় চলে যায় । জামায়াতের ওপর এনসিপির ক্ষোভ যে কারনে: আগের রাতে হয় দীর্ঘ বৈঠক মুজিব বর্ষ পালনের ছবি , বিতর্কে জড়ালেন বিএনপি-জামায়াত জমি দখল করতে মোটরসাইকেল রেখে পালালেন যুবদল নেতা । টাঙ্গাইলে ধর্ষণের ফলে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী অন্তসত্ত্বা; বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলীতে দুই কর্মীর উপর হা’ম’লা’র প্রতিবাদে জামায়াতের বি’ক্ষো’ভ সেনাবাহিনীকে সত্যিকারের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হলে অবশ্যই অপরাধীদের বিচার করতে হবে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্বে শিশু বলাৎকারের প্রমান। দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি মন্তব্য প্রিসিলার লিভারপুলকে হটিয়ে ফের শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি

সেনাবাহিনীকে সত্যিকারের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হলে অবশ্যই অপরাধীদের বিচার করতে হবে

শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।

সেনাবাহিনীকে সত্যিকারের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হলে অবশ্যই অপরাধীদের বিচার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, অপরাধে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচার হলে সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে না, বরং বাড়বে।

এস এম ফরহাদ লেখেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনে গুম, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছিল। গুম কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাত্র ১৩ কার্যদিবসে প্রায় ১৮শ গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে। এর শিকার হয়েছেন সাধারণ নাগরিক, শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, নারী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির, জামায়াত, বিএনপিসহ আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এমনকি শিশুরাও এই নৃশংসতার থেকে বাদ যায়নি। এ সকল গুম, নির্যাতন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে কেবল স্বৈরাচার হাসিনা ও তার আওয়ামী ফ্যাসিবাদই দায়ী নয়; এর সাথে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অনেক সদস্যরাও জড়িত। গুমের পর আয়নাঘরে চালানো অমানবিক নির্যাতন সভ্য সমাজে ঘৃণিত ও নিন্দনীয়। রাজনৈতিক ভিন্নমত ও পরিচয়ের কারণে অসংখ্য নাগরিক, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষার্থীকে পরিকল্পিতভাবে গুম করা হয়েছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার করে ‘জঙ্গি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব সাজানো মামলা ভিক্টিমদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করেছে, বহু পরিবারকে নিঃস্ব করেছে এবং সমাজে ভয়ের এক বিভীষিকাময় সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি লেখেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের গুম ও নির্যাতনের এই ধারাবাহিকতা একভাবে বর্বর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরে। এসব ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের পরিকল্পিত অপব্যবহার এবং মানবাধিকারের নগ্ন লঙ্ঘন। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে রাষ্ট্রের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানকেই দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছিল। এর প্রভাব সেনাবাহিনীতেও পড়েছিল। যারা র‍্যাব বা ডিজিএফআই কিংবা বিভিন্ন বিশেষ ফ্যাসিবাদী এজেন্ডায় দায়িত্বে ছিলেন, তাদের মধ্য থেকে অনেক কর্মকর্তা গুম, খুন, ক্রসফায়ারসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে।

ডাকসু সাধারণ আরও সম্পাদক লেখেন, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সেনাবাহিনীকে সত্যিকারের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত কর্মকর্তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। এটি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ইগো বা মর্যাদার প্রশ্ন নয়; এটি রাষ্ট্র, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। ন্যায়বিচার ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হলে সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে না, বরং তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী এবং সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে। চিহ্নিত অপরাধীদের সেইফ এক্সিট তেরীর চেষ্টায় জড়িতদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page

প্রযুক্তি সহায়তায় রায়তাহোস্ট