আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী ।
চট্টগ্রাম ১১ নম্বর আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী এবং আমাদের নেতা শফিউল আলম ভাই: সাহস, জনপ্রিয়তা এবং ইতিহাসের প্রমাণ
চট্টগ্রাম ১১ নম্বর আসনের জামায়াত এমপি প্রার্থী এবং আমাদের নেতা শফিউল আলম ভাই—যিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শুরুর দিকে চসিক কাউন্সিলর ছিলেন—তার সরকারের কয়েকটি সরকারি প্রোগ্রামের ছবি সামনে এনে বিএনপি ভোটার রাজনীতি করছে। অথচ সকলেই জানে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময়ে এসব কার্যক্রম প্রতিটি সরকারি অফিসে বাধ্যতামূলক ছিল।
উদাহরণ হিসেবে—সিলেটের বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জনাব আরিফ সাহেব, শেখ সাহেবের জন্মদিনে ২০২০ সালে ১০০ পাউন্ডের কেক কেটে অনুষ্ঠান করছিলেন। সত্য ইতিহাসই প্রমাণ করে—সবকিছু রাজনৈতিক প্রপাগান্ডার অংশ নয়।
শফিউল আলম ভাইয়ের ওয়ার্ডের জনগণ তাকে আওয়ামী আমলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে। যখন বিরোধী পক্ষ থেকে ভোট করাও এক ধরনের অপরাধ হিসেবে ধরা হতো, তখনও তরুণদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো ছিল। তার জনপ্রিয়তা এবং সাহসী ভূমিকা আজ তার বিরুদ্ধে ফটোকার্ড তৈরির কারণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরও উল্লেখযোগ্য—শফি ভাই আওয়ামী আমলের সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছিরের আস্থাভাজন ছিলেন। চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিটি, বিশেষ করে বন্দরের মতো দেশের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র সামলাতে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার প্রয়োজনীয়তা ছিল অপরিসীম। কঠিন সময়ে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার সাহসী ভূমিকা তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।
শফিউল আলম ভাই আওয়ামী আমলেও সমীহযোগ্য চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। উল্লেখযোগ্য যে, জামায়াতের শহরের আসনগুলোর মধ্যে ১১ নম্বর আসনটি স্থানীয় ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাই এই ফটোকার্ডগুলো বাস্তবে কিছু করতে পারবে না; বরং বুমেরাং হয়ে ফিরে যাবে।
জনগণ নিরবে ভোট দিয়ে আমাদের শফি ভাইকে জয়যুক্ত করবে। ইনশাআল্লাহ
এমন মন্তব্য করেন জামায়াতের সিনিয়র নেতা-কর্মীরা।